রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কিশোর সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গ্রাম-অঞ্চল
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাসী
  11. প্রাণী জগৎ
  12. বাজার হাট
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. ভূতের আড্ডা

হাসপাতালের ভুতের গল্প ۔ শেষ পর্ব |

প্রতিবেদক
Janatar Kagoj
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ ১:২১ অপরাহ্ণ

গল্পহসপিটালরহস্য 💀

শেষ পর্ব ۔

.
জানালার কাছে গিয়ে নিচে তাকালাম, দেখলাম ডাক্তার সিনহার রক্তাক্ত শরীর মাটিতে পড়ে আছে। কন্সটেবল আসিফ চিৎকার করে উঠলো। মাই গড।
আরো একটা লাশ?? আরো একটা সুইসাইড?? সেটাও আবার আমার সামনে।
তাড়াতাড়ি নিচে নামলাম। ডাক্তার সিনহার লাশটা এখন আমার সামনে। কিছু মানুষ এসে মুহুর্তেই জড়ো হলো। আমি তখনো অবাক হয়ে লাশটার দিকে তাকিয়ে আছি। অবিরাম রক্ত পড়ছে মাথা থেকে। একটু আগে কি হয়ে গেলো এটা? নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিনা। তাহলে কি আত্মারা সত্যি সত্যি? এই প্রথম আমি আত্মাদের উপর বিশ্বাস আনা শুরু করলাম।
.
মোবাইলের রিংটা বেজেই চলেছে।
আমি ভয়ার্ত চোখে ডাক্তার সিনহার লাশের দিকে তাকিয়ে আছি। অদ্ভুতভাবে মোবাইলের শব্দটা আমার কানে আসছেনা। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটা লোক বললো-
“স্যার আপনের ফোন বাজতাছে”।
ঘোর কাটিয়ে ফোনটা বের করলাম। মুন্নার কল। ধরলাম।
-দোস্ত কোথায় তুই? আমি হসপিটালে গেইটের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি”।
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম-
“ভিতরে আয়”।
.
[আরো রহস্যময় ভৌতিক গল্প পেতে আমার মোঃ হুমায়ুন মজুমদার আইডি টা ফলো দিয়ে রাখুন। আমার আইডিতে অলরেডি অনেক গল্প পোস্ট করা আছে]

মুন্না এসে দেখলো আমার চেহারাটা প্রচন্ড ভয়ার্ত। মাটিতে পড়ে আছে একটা লাশ। আমার কাছে জানতে চাইলো “কি হয়েছে”?
সব খুলে বললাম। সব শুনার পর মুন্নার চেহারাতেও টেনশনের ছাপ দেখা যাচ্ছে। মুন্না বললো-
-মেহরাব আমি এই লাশটা এখন ই পরীক্ষা করতে চাই। তুই প্লিজ মানা করিস না। কিছু গড়মিল আছে নিশ্চিত”।
মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম। যদিও আমি ভিতরে ভিতরে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি “এসব আত্মাদের কাজ”।
.
মুন্না পরীক্ষা শুরু করলো। আমিও খোঁজ নেওয়া শুরু করলাম হসপিটালের ইতিহাসের।
জানতে পারলাম এই জায়গাটা ওসমান খান নামক একজন মানুষের। যদিও তিনি ২বছর আগে মারা গেছেন। কিন্তু উনার ছেলে শামিম খান বেঁচে আছেন। উনার ছেলের নাম্বার বের করে কল দিলাম-
-হ্যালো মিঃ শামিম”?
-জ্বী কে বলছেন”?
-আমি থানা থেকে পুলিশ অফিসার মেহরাব বলছিলাম। আপনার কাছে কিছু জানার ছিলো”।
-বলুন কি জানতে চান”?
আমি সরাসরি প্রশ্ন করলাম-
-আচ্ছা আপনার বাবার যে জায়গাটা যেটা হসপিটালের জন্য দিয়েছেন, ঐ জায়গার পিছনে কি ভৌতিক কোনো গল্প আছে”?
-আরে না স্যার, এমন কিছুনা।
তবে এই জায়গা নিয়ে প্রায় ১৫বছর ধরে আমার আব্বা “ওসমান খান” আর তার চাচাতো ভাই “শরীফ খান” মামলা লড়ছিলেন। একটা সময় শেষে মামলাটা আব্বা জিতে যান। তারপর তিনি এই জায়গায় নিজের নামে একটা হসপিটাল করার স্বীদ্ধান্ত নেন।
আমি ডাক্তার সিনহার থেকে সব শুনেছি স্যার। এসব ভূত আত্মাতে আমিও বিশ্বাসী না। কিছু তো একটা গন্ডগোল হচ্ছে হসপিটালে। কিন্তু আমি পুরো ফ্যামিলি নিয়ে এখন কানাডা থাকি, এখান থেকে কি করবো বলুন”?
-আপনি কি জানেন ডাক্তার সিনহা একটু আগে সুইসাইড করেছেন”?
ওপাশ থেকে ভয়ার্ত কন্ঠে মিঃ শামিম বললেন-
-কিহহহহহ? আমার সাথে তো গতকাল রাতে ভালোভাবেই কথা বললেন।
এসব কি হচ্ছে ওইখানে?
আমার প্রচন্ড ভয় লাগছে স্যার।
আমি চাচ্ছিনা আমার বাবার নাম থাকার জন্য হসপিটালটা খুলা রেখে এতো মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে। আপনি দয়া করে হসপিটালটা বন্ধ করার ব্যাবস্থা করুন। প্লিজ”।
-আমি দেখছি কি করা যায়”।
ফোনটা কাটলাম। উনার সাথে আর কোনো কথা বাড়ালাম না। কিন্ত উনার একটা কথা আমার মাথায় ঢুকলো “এই জায়গা নিয়ে ১৫ বছর ধরে মামলা চলছিলো”।
.
চেয়ারে বসে বসে মুন্নার জন্য অপেক্ষা করছি। লাশটা নিয়ে এখনো টেস্ট করছে। খানিকক্ষণ পর মুন্না বের হলো। চেহারায় প্রচন্ড টেনশনের ছাপ।বললাম-
-কোনো কিছু পেলিনা তাইতো?
আমি বুঝে গেছি দোস্ত, এইখানে আত্মারা আছে। এসব তারাই করছে। আমি হসপিটালটা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাবস্থা নিচ্ছি”।
-আরে না মেহরাব, আমি যা সন্দেহ করেছিলাম তাই। ভূত আত্মা এসব কিছুই না। ডাক্তার সিনহার রক্তে ড্রাগ পাওয়া গেছে। এই ড্রাগের কারণেই উনি সুইসাইড করেছেন। হয়তো বাকিদের মৃত্যুর কারণ ও এই ড্রাগ। কিন্তু এতো দামি ড্রাগ এই হসপিটালে কে নিয়া আসবে? কেনো নিয়ে আসবে”?
মুন্নার কোনো কথা আমার মাথায় ঢুকলোনা। কিছু বুঝলাম না। বললাম-
-পাগলের মতো কি বলছিস এগুলো? ড্রাগ নিলে কেউ আবার সুইসাইড করবে কেনো? তাছাড়া যারা সুইসাইড করেছে তাদের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে কারো শরীরেই ড্রাগের চিহ্ন পাওয়া যায়নি”।
-এটাই এই ড্রাগের স্পেশালিটি মেহরাব। “হিপনোটিক সুইসাইডাল ড্রাগ”।
যেটা দ্বারা মানুষের মাইন্ডকে কন্ট্রোল করা যায়। হিপনোটাইজ করা যায়।
কিন্তু এটা শরীরে মাত্র ২ঘন্টা থাকে।
২ঘন্টা পর এই ড্রাগের আর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়না। যার ফলে পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও এটার কোনো চিহ্ন নেই। ভ্যাগিস আমি সাথে সাথে ডাক্তার সিনহার লাশটা টেস্ট করেছি।
অন্যথায় ২ঘন্টা পর ডাক্তার সিনহার শরীরেও কোনো চিহ্ন পাওয়া যেতোনা”।
আমি বড়সড় রকমের শকড খেলাম। হিপনোটিক সুইসাইডাল ড্রাগ?
তারমানে এসব কোনো মানুষের কাজ?
কিন্তু কেনো? কে করবে এসব? অবাক কন্ঠে বললাম-
-এই ড্রাগ কি বাংলাদেশে পাওয়া যায়”?
-নাহ। এটা খুবই রেয়ার একটা ড্রাগ। বাংলাদেশ সহ বহু দেশেই এই ড্রাগ নেই। বিশ্বে জার্মানিতে এই ড্রাগের প্রচলন সবচাইতে বেশি।
কিন্তু এতো টাকা খরচ করে বাইরের দেশ থেকে কেউ এই ড্রাগ কেনো নিয়ে আসবে? কেনো এতো মানুষকে মারবে”?
মুন্নার প্রশ্নের কোনো উত্তর আমার কাছে নেই। কেনো এই ড্রাগ নিয়ে আসলো? কেনো এতো টাকা খরচ করলো?
কেনো এতো মানুষকে সুইসাইড করালো? এসব প্রশ্নের চাইতেও
“কে করেছে এগুলো”? এটার উত্তর জানাটা বেশি জরুরী। মাথায় হাজারটা প্রশ্ন নিয়ে থানায় চলে আসলাম”।
.
কোনো ক্লু পাচ্ছিনা। কে করবে এসব? কেনো করবে? এতো মানুষকে সুইসাইড করানোর পিছনে দুইটা কারণ হতে পারে। এক, শত্রুতা। দুই, হসপিটাল বন্ধ করা। কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা। মাথার ভিতর বারবার মিঃ শামিমের কথাটা ঘুরপাক খাচ্ছে। ১৫ বছর ধরে মামলা।
আমি ওসমান খান এবং তার চাচাতো ভাই শরীফ খান সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া শুরু করলাম। ওসমান খানের এক ছেলে, শামিম। যার সাথে আমি ফোনে কথা বলেছি। কিন্তু শরীফ খান সম্পর্কে যখন খোঁজ নিলাম, আমার চোখ কপালে উঠে গেলো। শরীফ খানের ও এক ছেলে। “রাজু খান”। রাজু সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করার পর দেখলাম রাজু খান ১২ বছর ধরে জার্মানিতে থেকে পড়াশুনা করেছে। হাইডেলবার্গ ইউনিবার্সিটি থেকে সনদ নেওয়া একটা পিক দেখলাম। মাই গড। পিক দেখার সাথে সাথে নিশ্চিত হলাম হসপিটালের ওয়ার্ড বয় রাজু মিয়া এবং জার্মানিতে পড়াশুনা করা রাজু খান একিই ব্যাক্তি। আমার আর কিছু বুঝার বাকি রইলো না। রাজু, রিয়া সুইসাইড করার পর যে ওয়াশরুমের দরজা ভেঙেছিলো৷
রাজু জার্মানিতে ছিলো ১২ বছর। যেখানে এই ড্রাগটা সবচাইতে বেশি প্রচলিত। অংকটা মিলে যাচ্ছে।
কন্সটিবল আসিফকে কল দিলাম। বললাম “ওয়ার্ড বয় রাজুর বাসাটা এখন ই সার্চ করতে। ড্রাগ টাইপের কিছু পেলে আমাকে তাড়াতাড়ি জানাতে”।
ফোনটা রেখে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমি নিশ্চিত রাজু এখন হসপিটালেই আছে”।
.
হসপিটালে কর্মরত সবাই এখন আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজুও আছে।
সবাই প্রচন্ড ভীত। চুপচাপ।
আমি আস্তে আস্তে হেটে রাজুর কাছে গেলাম। রাজু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বললাম-
-শরীফ খানের একমাত্র ছেলে, জার্মানি থেকে পড়াশুনা শেষ করা, ব্রিলিয়ান্ট রাজু খান। কেমন আছেন”?
রাজু মাথা তুলে ভ্রুঁ কুঁচকে তাকালো। ঢোক গিলে বললো-
-কি বলছেন স্যার”?
আমি মুঁচকি একটা হাসি দিলাম। বললাম-
-জানি সহজে স্বীকার করবেনা। এখন কি জার্মানিতে হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির পিক দেখাতে হবে? নাকি ওখানের কারো সাথে কথা বলিয়ে দিতে হবে”?
রাজু আবারো ঢোক গিলছে৷
ঠিক ওই সময় আমার কাছে একটা কল আসলো। কন্সটেবল আসিফের কল। ধরলাম।
-স্যার রাজুর ঘর থেকে কয়েকটা ইনজেকশন এবং একটা ছোট বোতল পাওয়া গেছে। বোতলের ভিতরে ড্রাগ জাতীয় কিছু মনে হচ্ছে”।
আমি মোবাইলটা স্পীকারে দিলাম৷ বললাম-
-কি বলছো আসিফ শুনিনি। আবার বলো”।
আসিফ আবার বললো “স্যার রাজুর ঘর থেকে কয়েকটা ইনজেকশন এবং একটা ছোট বোতল পাওয়া গেছে। বোতলের ভিতরে ড্রাগ জাতীয় কিছু মনে হচ্ছে”।
রাজু ঘামতে শুরু করেছে। বারবার ঢোক গিলছে।
ফোনটা রেখে বললাম-
-এখন কি স্বীকার করে নিবে? না’কি আমরা আমাদের পদ্ধতি ব্যাবহার করবো”?
রাজু চিল্লায়া উঠলো-
-কি করবোওওওওও আমিইই? আমার কি করার ছিলো? ওসমান খান আমার বাবাকে মেরেছে। এই জায়গাটা আমার বাবার। থানা আর কোর্টের চক্কর দিতে দিতে আমার বাবা একটা সময় হাঁপিয়ে যান। একলা একটা মানুষ কতো দৌড়াবেন? অসুস্থ হয়ে পড়েন। মারা যান। আমি তখনো জার্মানিতে। ওসমান খান সেই সুযোগে কেসটা জিত যায়। এই জায়গাটাও নিজের নামে করে নেয়।
জানেন স্যার বাবার স্বপ্ন কি ছিলো?
এইযে পাশেই আমাদের পারিবারিক কবরস্থান। বাবার স্বপ্ন ছিলো এই জায়গায় তার মায়ের নামে একটা বৃদ্ধাশ্রম করবেন।
সবাই এখান থেকে তার মায়ের জন্য আর তার জন্য দোয়া করবে। প্রতিদিন দোয়া করবে”।
রাজু থামলো। আমি দেখতে পেলাম রাজুর চোখ থেকে টুপটুপ করে পানি পড়ছে৷ চোখ মুছতে মুছতে আবার বললো-
-আমার বাবা আমার কাছে এই জীবনে কিচ্ছু চাননি স্যার। কিচ্ছু না। শুধুমাত্র মারা যাওয়ার কয়েকঘন্টা আগে আমাকে ফোন করে বলেছিলেন
‘বাবা রাজু, আমি যদি মারা যাই তাহলে ওসমান খানের থেকে আমাদের জায়গাটা রক্ষা করিও। সম্ভব হইলে তোমার দাদির নামে একটা বৃদ্ধাশ্রম বানিও’। আমি কি করবো স্যার? সারা জীবনে আমার বাবা আমার কাছে একটা জিনিস চাইছেন। সেটাও আবার তার নিজের। এই জায়গাটা যাতে আমি রক্ষা করি। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর ওসমান খান জায়গাটা নিজের করে নেয়। নিজের নাম দিয়ে হসপিটাল ও বানায়। আমি কিভাবে সহ্য করবো”?
অবাক হয়ে বললাম-
-তাই বলে তুমি এতোগুলো মানুষের জীবন কেড়ে নিবে? তোমার একটাবার হাত কাঁপলোনা”?
-স্যার আমি যাদের সুইসাইড করতে বাধ্য করেছি তারা প্রত্যেকটা মানুষ খারাপ ছিলো৷ নিশি নামের মেয়ে, ডাক্তার সিনহা, বাকি সব, ওরা সবাই খারাপ লোক স্যার। শুধুমাত্র রিয়া নামের মেয়েটাকে মারতে আমার কষ্ট হয়েছে। ওর ভিতর নিষ্পাপ একটা প্রাণ ছিলো। আমি শুনেছি তাকে ফোনে কথা বলতে।
কিন্তু তখন এই হসপিটালের একমাত্র রোগী ছিলো রিয়া। আমার মনে হয়েছে তাকে মারলে হয়তো এই হসপিটালটা বন্ধ হয়ে যাবে৷ জানালা দিয়ে যখন দেখলাম রিয়ার আম্মু ওয়াশরুমে গেলেন, ঠিক তখন আমি রুমে যাই। ইনজেকশন দিয়ে রিয়াকে ড্রাগটা দেই।
তারপর যেভাবে বলি সেভাবেই সুইসাইড করে। যাদের মেরেছি তাদের সবাইকে এই ড্রাগ দিয়ে সুইসাইড করতে বাধ্য করেছি।
আমি সবাইকে এটা বিশ্বাস করাতে চাচ্ছিলাম যে এখানে আত্মারা আছে।
কেউ যাতে এখানে না আসে। হসপিটালটাও বন্ধ করে দিতাম, কিন্তু আপনি এসে সবকিছু~~
রাজু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। বললাম-
-তোমার কথা শুনে মনে হলো তোমার বাবা অনেক ভালো ছিলেন। বৃদ্ধাশ্রম করতে চাইতেন, আশ্রয় দিতে চাইতেন, সেবা করতে চাইতেন। নাম যেটাই হোক, উনি যদি শুনতেন যে এই জায়গায় একটা হসপিটাল করে মানুষকে সেবা দেওয়া হচ্ছে, আমার বিশ্বাস তিনি নিশ্চই খুশি হতেন। কিন্তু তুমি? আফসোস।
.
রাজুর সাথে আর কোনো কথা বাড়ালাম না। থানায় নিয়ে আসলাম।
ফাহাদকে থানা থেকে ছেড়ে দিলাম।
ছেলেটাকে অনেক কষ্ট দিছি। ঠিক হয়নি একদম। ফাহাদকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললাম “পারলে ক্ষমা করে দিও”।
ছেলেটা কান্না করছিলো। হয়তো রিয়ার জন্য, অথবা বাচ্চাটার জন্য।
আমাকে বললো-
“স্যার ওই শুয়োরের বাচ্চাটারে ছাইড়েন না। অনেক মারিয়েন। অনেক”।
আমি ফাহাদের কাঁধে হাত রেখে ভরসা দিলাম। আরো একটা বড় কেসের সমাপ্তি হলো। একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মনে মনে বললাম “ব্যাস এখন শুধু হসপিটালটা আগের মতো হওয়ার অপেক্ষা”।

সমাপ্তি…

সর্বশেষ - আইন আদালত