সুমেরীয় সভ্যতা :
সুমেরীয় সভ্যতা বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতাগুলির মধ্যে একটি, যা খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বর্তমান ইরাকের দক্ষিণ অংশে বিকশিত হয়েছিল। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরবর্তী উর্বর ভূমিতে বসবাসকারী সুমেরীয়রা কৃষিক্ষেত্র, বাণিজ্য, শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অসাধারণ অগ্রগতি লাভ করেছিল।
সুমেরীয়দের অবদান:
- চিত্রলিপি: সুমেরীয়রা বিশ্বের প্রথম লিপি ব্যবস্থা, চিত্রলিপির উদ্ভাবন করে। এই লিপি ব্যবস্থায় চিত্রের মাধ্যমে ধারণা প্রকাশ করা হত।
- কিউনিফর্ম: সুমেরীয়রা বিশ্বের প্রথম লিখন পদ্ধতি, **কিউনিফর্ম **আবিষ্কার করে। ত্রিভুজাকারকলম দিয়ে নরম মাটির ফলকে লেখা এই লিপি ব্যবস্থা ‘V’-এর মতো আকৃতির জন্য পরিচিত।
- সাহিত্য: মহাকাব্য, পৌরাণিক কাহিনী, গান, কবিতা, রূপকথা ইত্যাদি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় সুমেরীয়রা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। ‘গিলগামেশ মহাকাব্য’ বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম প্রাচীন ও বিখ্যাত রচনা।
- স্থাপত্য: জিগুরাট নামক বহুতল স্তম্ভযুক্ত মন্দির সুমেরীয় স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন।
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, ধাতুবিদ্যা, কৃষি ক্ষেত্রে সুমেরীয়রা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছিল।
সুমেরীয় সভ্যতার পতন:
খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সালের দিকে, সুমেরীয় সভ্যতা ধীরে ধীরে পতনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এর পেছনে বহু কারণ ছিল, যেমন –
- অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ ও যুদ্ধ: সুমেরীয় শহর-রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ক্রমাগত বিদ্রোহ ও যুদ্ধ সভ্যতাকে দুর্বল করে দিয়েছিল।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ: বন্যা, খরা, ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সুমেরীয়দের জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল।
- বহিরাগত আক্রমণ: এসিরিয়ানদের মতো বহিরাগত আক্রমণকারীরা সুমেরীয় সভ্যতার পতনের মূল কারণ।
উত্তরাধিকার:
যদিও সুমেরীয় সভ্যতা দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়নি, তবুও তারা বিশ্ব সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেখন ব্যবস্থা, সাহিত্য, আইন, স্থাপত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তাদের অবদান আধুনিক বিশ্বকে সমৃদ্ধ করেছে।

সুমেরীয় সভ্যতা বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতাগুলির মধ্যে একটি, যা খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বর্তমান ইরাকের দক্ষিণ অংশে বিকশিত হয়েছিল। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরবর্তী উর্বর ভূমিতে বসবাসকারী সুমেরীয়রা কৃষিক্ষেত্র, বাণিজ্য, শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অসাধারণ অগ্রগতি লাভ করেছিল।
সুমেরীয়দের অবদান:
- চিত্রলিপি: সুমেরীয়রা বিশ্বের প্রথম লিপি ব্যবস্থা, চিত্রলিপির উদ্ভাবন করে। এই লিপি ব্যবস্থায় চিত্রের মাধ্যমে ধারণা প্রকাশ করা হত।
- কিউনিফর্ম: সুমেরীয়রা বিশ্বের প্রথম লিখন পদ্ধতি, **কিউনিফর্ম **আবিষ্কার করে। ত্রিভুজাকারকলম দিয়ে নরম মাটির ফলকে লেখা এই লিপি ব্যবস্থা ‘V’-এর মতো আকৃতির জন্য পরিচিত।
- সাহিত্য: মহাকাব্য, পৌরাণিক কাহিনী, গান, কবিতা, রূপকথা ইত্যাদি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় সুমেরীয়রা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। ‘গিলগামেশ মহাকাব্য’ বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম প্রাচীন ও বিখ্যাত রচনা।
- স্থাপত্য: জিগুরাট নামক বহুতল স্তম্ভযুক্ত মন্দির সুমেরীয় স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন।
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, ধাতুবিদ্যা, কৃষি ক্ষেত্রে সুমেরীয়রা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছিল।
সুমেরীয় সভ্যতার পতন:
খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সালের দিকে, সুমেরীয় সভ্যতা ধীরে ধীরে পতনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এর পেছনে বহু কারণ ছিল, যেমন –
- অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ ও যুদ্ধ: সুমেরীয় শহর-রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ক্রমাগত বিদ্রোহ ও যুদ্ধ সভ্যতাকে দুর্বল করে দিয়েছিল।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ: বন্যা, খরা, ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সুমেরীয়দের জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল।
- বহিরাগত আক্রমণ: এসিরিয়ানদের মতো বহিরাগত আক্রমণকারীরা সুমেরীয় সভ্যতার পতনের মূল কারণ।
উত্তরাধিকার:
যদিও সুমেরীয় সভ্যতা দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়নি, তবুও তারা বিশ্ব সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেখন ব্যবস্থা, সাহিত্য, আইন, স্থাপত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তাদের অবদান আধুনিক বিশ্বকে সমৃদ্ধ করেছে।